বাংলাদেশ এর আলোচিত ও একইসাথে সমালোচিত মডেল জ্যাকুলিন মিথিলা আত্মহত্যা করেছেন। ৩০ জানুয়ারি রাত ১১ঃ৪৯ মিনিটে তার ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি একটি স্ট্যাটাস প্রদান করেন, এতে তিনি লিখেন, “কালকে আমি আত্মহত্যা করব। কেউ আমাকে প্রত্যাখান করে নাই। আমিও কাউকে প্রত্যাখান করি নাই। কিন্তু আমি আত্মহত্যা করব।”
এর পরে ৩১ জানুয়ারি সকাল ৭ঃ২৮ মিনিটে তিনি আরও একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, “ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে পা বাড়াচ্ছি।”
গত কয়েকদিন ধরেই তার ভক্তগণ বারবার প্রশ্ন করছিলেন, আসলেই তিনি এ কাজ করেছেন কিনা? কিন্তু কোন জায়গা থেকেও মিলছিল না কোন সংবাদ। অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের হাসপাতালেই তার লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম বন্দর থানা থেকে জানানো হয়েছে, তারা তার নিজ বাসা থেকে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেন এবং পরে এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময়ে তার শরীরে প্রচুর পরিমাণ ঘুমের ঔষধ পাওয়া গেছে। এ কারণে পুলিশ এর ধারণা, এটি হত্যাও হতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর থানা থেকে আরও জানানো হয়েছে, তার মুল নাম জয়া শীল। মিডিয়ায় তিনি নিজেকে জ্যাকুলিন মিথিলা হিসাবে পরিচিতি করান। এমনকি বিয়ের রেজিস্ট্রি খাতায়ও তার নাম জয়া শীল লেখা আছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তার স্বামী উৎপল রায় সাথে মনোমালিন্য থেকে তিনি এ পথে পা বাড়িয়েছেন। তার খোলামেলা ও উদ্দাম জীবনযাপন তার স্বামী মেনে নিতে পারেন নি। তার বাবা নরসুন্দর স্বপন শীল ভেঙ্গে পড়েছেন। তার মা কারও সাথে কোন কথা বলছেন না।
ফেনিতে শৈশব কাটিয়ে যখন ভাগ্যের সন্ধানে যাদুর শহর ঢাকায় আসেন, তখন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু ভাল কোন কাজ না করায় কখনও নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন ধরতে পারেন নি। আর এ কারণেই তিনি আলোচনায় আসতে বেছে নেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে যেখানে তিনি নিজের খোলামেলা ছবি প্রকাশ করতে থাকেন। আইটেম গান ও কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন, যেখানেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত খোলামেলা। আর এ কারনেই আলোচনার চেয়ে সমালোচিতই হয়েছেন বেশির ভাগ সময়ে।
ছবিঃ জ্যাকুলিন মিথিলা এর ফেসবুক প্রোফাইল